চসিকের দুই কাউন্সিলরসহ ২২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগে ২২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিবলী নোমান নামে এক যুবদল নেতা। গতকাল চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকীর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় নগরীর জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমনকে প্রথম আসামি এবং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী নেতা জহর লাল হাজারীকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরাও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মামলার বাদীর আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া জানান, বাদী শিবলী নোমান চন্দনাইশ উপজেলা যুবদলের নেতা। ৪ আগস্ট প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে গুলি করা হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সে সময় ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে দেড়শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বাদী গত ১৮ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। গত ৪ আগস্ট আসামিরা ১০০ থেকে দেড়শ সন্ত্রাসীর যোগসাজশে কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট আমতল এলাকায় হামলা চালায়। নগরীতে দেশীয় অস্ত্র, চাকু, লোহার রড, হ্যান্ড বোমা, লাঠিসোঁটাসহ অস্ত্রে সজ্জিত। আসামিরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে আমতল শাহ আমানত মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলকে লক্ষ্যবস্তু করে, দূর থেকে গুলি ছুড়ে এবং হাত বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।

এ সময় আসামিদের গুলিতে তিনি আহত হন। এরপর কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ তাকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বাদী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চান। চিকিৎসা শেষে তিনি হামলাকারী আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গেলে তারা তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ফলে মামলাটি বিলম্বিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *