বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ত্রিপুরার হোটেল
কয়েকদিন আগে ভারতের ত্রিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা সেবা দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এখন ত্রিপুরা হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কোনো পর্যটক ত্রিপুরায় গেলে তাদের ওই এলাকার কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘হোটেলটি বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য রুম দেবে না।’ রেস্টুরেন্ট তাদের কোনো খাবার পরিবেশন করবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন এবং বাংলাদেশে ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈকত ব্যানার্জি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভুর অন্যায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজ্যের সব হোটেল-রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে যারা ইতিমধ্যে হোটেল সার্ভিস নিচ্ছেন তাদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যদের সেবা দেওয়া হবে না।’
এ প্রসঙ্গে হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বাগত জানাই এবং সবসময় তাদের হোটেল সেবা দিতে আগ্রহী। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা ও বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। গতকাল সোমবার বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।
ঘটনার রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা প্রথমে আগরতলার সার্কিট হাউসে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে।
একপর্যায়ে সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনে ঢুকে স্থাপনার বিভিন্ন অংশ গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা চরমপন্থীদের বাধা দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সিআরপিএফ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে সহকারী হাইকমিশন অফিসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।