সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বারুদ্দোজ্জা চৌধুরী (৯৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার দিবাগতরাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২ অক্টোবর সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দিবাগতরাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৪ নভেম্বর ২০০১ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে তিনি ২১ জুন, ২০০২ তারিখে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পিতা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথম শিক্ষামন্ত্রী এবং তারপর সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে, তিনি সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অবশেষে ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ৮ মে, ২০০৪ তারিখে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।