সিরাজগঞ্জে ফসলি জমিতে পুকুর খনন থামছেই না
সিরাজগঞ্জের সবজি ভান্ডারের জন্য খ্যাত তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমি কমছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শয্যভান্ডার খ্যাত এর জন্য বিখ্যাত ওই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪১টি পুকুর খনন করা হয়েছে এবং আরও শতাধিক পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফসলি জমিতে পুকুর খননের কারণে ইতিমধ্যে চাষের জমি কমেছে ১ হাজার ৯২১ হেক্টর। গত ১ মাসে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিধি লঙ্ঘন করে পুকুর খননের দায়ে ভূমি মালিকদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ৮টি, ই-সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা ১০টি এবং সংক্ষুব্ধ কৃষকরা ২টি মামলা করেছে।
তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, নওগাঁ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। মাছ চাষে অধিক লাভের আশায় এসব পুকুর খনন করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শয্যভান্ডার খ্যাত এর জন্য বিখ্যাত তাড়াশ উপজেলার মাটি খুবই উর্বর। বিস্তীর্ণ এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমিতে বছরে ৩/৪টি বিভিন্ন জাতের ধান ও রবি শস্য চাষ করা হয়। তারপরও কৃষকরা তাদের জমি খনন করে পুকুর করছে। আসলে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব পুকুর খননে উৎসাহ হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। এ অঞ্চলের ফসলি জমিও কমছে।