এ জেলার ৬টি সংসদীয় আসন এখন ৫টি হওয়ায় প্রার্থীদের প্রত্যাশা অনেক।চাঁদপুরে নির্বাচনী মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

0

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চাঁদপুর জেলায় বর্তমানে ৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এক সময় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকারের আমলে এ জেলায় সংসদীয় আসন ছিল ৬টি। এ চাঁদপুর জেলায় ১টি সংসদীয় আসন কমে যাওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের এলাকা বেড়ে যাওয়ায় তারা আরও বিপাকে পড়েছেন। এখন তাদের আরও প্রচার, ভ্রমণ এবং বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে তাদের ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ায় প্রত্যাশাও বেশি। গত সংসদ নির্বাচনের মাঠ এবং গত বছরের তুলনায় এবারের নির্বাচনী মাঠ খুব একটা গরম নয়। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের ব্যাপক ঢেউ তৈরির লক্ষ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় হয়েছেন।

এই চাঁদপুর জেলার ৫টি আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্রমশ নির্বাচনী মাঠ গরম করার শুভ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঈগল প্রতীকের হেভি ওয়েট প্রার্থীরা। এটা ওপেন সিক্রেট হলেও আওয়ামী লীগের গ্রুপিং রাজনীতি মেনে নেওয়া কিছু নেতাকর্মীর দ্বারা তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তালিকায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নবাগত ও হাইব্রিডদের ভিড়ে, দলের প্রকৃত নেতাকর্মীরা অবমূল্যায়িত, অবহেলিত ও শূন্য হয়ে পড়ছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সরোজমিনে চাঁদপুরের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন ও ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব তথ্য জানান।

চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও দক্ষিণ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান। তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। সংবাদ সম্মেলন, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি আসনটিতে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তাকে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে ভোটাররা এ আসনকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে একবার মন্ত্রীও হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের মাঠে এই প্রবীণ বিজ্ঞ নেতাকে পরাজিত করার স্বপ্ন খুবই ক্ষীণ বলে মন্তব্য করেছেন অনেক সচেতন ভোটার।

অন্যদিকে চাঁদপুর-৩ সদর-হাইমচর ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ঈগল প্রতীকে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. শামসুল হক ভূঁইয়া। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বিগত সময়ে ফরিদগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অতীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলের খোঁজখবর নেন। শামসুল হক ভূঁইয়ার নাম উচ্চারণ করে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন এবং দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে তার অপরিসীম সুসম্পর্ক রয়েছে তা স্পষ্ট। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তি এবং নির্বাচন সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলন ও সভা-সমাবেশসহ বিভিন্নভাবে উভয় আসনেই ঈগল প্রতীকের বিজয়ের মালা অর্পণের জন্য ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *