অবৈধভাবে যন্ত্রপাতি কেনার কারণে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিডি বরখাস্ত ।
শহীদ এম ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পাল, পিডি ও মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বলেন, তার মেয়াদে (পিডি এবং উপ-পরিচালক) চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র বেআইনিভাবে ক্রয়ে অর্থ অপব্যবহার করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সিজিএ কর্তৃক তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট-এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০১৮। সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা-আপীল) বিধিমালা-২০১৮ অনুসারে ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পালের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের আদেশ অনুযায়ী সরকারি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৬ ও ২০০৮ লঙ্ঘন করে পিডি ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পাল এবং বেঙ্গল সায়েন্টিফিক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহের উদ্দিন বৈধভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করেন হংকং থেকে।
এ কারণে ওই দুই ব্যক্তি একশ সোড়ে ৬৩ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে এবং ২০২০ সালের ৯ আগস্ট দুদক মামলা করে। ঢাকার এম জাহান ট্রেডার্স অ্যান্ড গ্রিন ট্রেডস ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট (আইবিইউএস) ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ২২ হাজার টাকা লোটপাট করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। ২০২২ সালের জুন মাসে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে ২৩ অক্টোবর দুদক দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে সিরাজগঞ্জ প্রতিষ্ঠানের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) মেশিন কেনার জন্য পিডি দুই ঠগীকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান । নব্বই দিনের মধ্যে মেশিনটি পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও গত দেড় বছরেও মেশিন কেনা হয়নি। হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি বারবার তাগাদা দিলেও পিডি কর্ণপাত করেননি। সিজিও-স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অডিট দল পিডির বিরুদ্ধে আরও আড়াই কোটি টাকার আর্থিক অপব্যবহার পেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, একরনে বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি পিডিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।