১৪ দলের শরিকরা এখনই আসন ভাগাভাগি চায়

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই জোটের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে চান ১৪ দলের সদস্যরা। তবে আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শরিকরা কয়টি আসন পাবে তা চূড়ান্ত করা হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বাসায় এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ৩০ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ১৪ দলের জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও সমমনাদের নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির দিন ১৪ দলের সদস্যরা মাঠে নামবেন না।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শরিকদের কতটি আসন দেওয়া হবে তা ঠিক করার প্রস্তাব দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, তা চূড়ান্ত হয়েছে।

ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৪টি দলের আসন এখনই নির্ধারণ করতে হবে। কারণ মাঠে প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।

মেননের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, শরিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে সমস্যা হয়।

ফলে আগে থেকেই সমাধান করতে হয়।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীও আসন বণ্টনের বিষয়টি দ্রুত শেষ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এ সময় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, “নেত্রী (শেখ হাসিনা) আগেই বলেছেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আসন ভাগাভাগি করা হবে। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। যে কোনো সময় ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এরপর তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জোটের শরিকদের বৈঠক করা যেতে পারে। আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হোক।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন তৎপরতা আমাদের দেশের জনগণের জন্য কাম্য নয়। আমাদের দেশের একদিকের অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডে তারা বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের অনুসরণ করছে বলে মনে হচ্ছে। ১৪ দল। যেকোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদাসীনতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।

আমু বলেন, “আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখা দরকার। আর এজন্য সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আমাদের জোটের সমর্থন রয়েছে। আমরা চাই সেই অনুযায়ী নির্বাচন হোক। আমির হোসেন আমু বলেন, ‘নির্বাচনসহ যেকোনো কিছু সংবিধানের মধ্যেই করতে হবে। সংবিধান বিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড আমরা প্রতিহত করব।

আমু বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাই। এছাড়া এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

বৈঠকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *