দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন ১২ নভেম্বর
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন হবে ১২ নভেম্বর। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ রুটে ট্রেন চলাচল সূচনা করবেন। শনিবার (৭ অক্টোবর) রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানান।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের জন্য ১২ নভেম্বর সময় দিয়েছেন।
কক্সবাজারের রেললাইন পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু সংস্কারের কাজ চলছে। এই সেতু দিয়ে ইঞ্জিন বগি নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্বোধনের আগেই সংস্কার কাজ শেষ হবে।
‘সরকার ২০১০ সালে দোহাজারী থেকে রামু থেকে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০.৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। রামু হয়ে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
বাকি প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
প্রকল্পের আওতায় ৯টি রেলস্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি গোল কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। লেভেল ক্রসিং আছে ৯৬টি।
চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিআরইসি) এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি) প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ করছে। এছাড়া তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত।
প্রকল্পটি ২০১০ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে, প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থাগুলি কাজ শুরু করে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পটি ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর অক্টোবরের মাঝামাঝি যাত্রী পরিবহন। কিন্তু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামতের পাশাপাশি পুরো কাজে সময় লাগছে। আর কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।