বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে  ৯৭% মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন

0

বাংলাদেশের ৯৭  শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের ফোন ব্যবহার করার সময় গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বেবি বুমার, বা ৫৯ থেকে ৭৭ বছর বয়সী, ৮৯ শতাংশে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। আর ৬১ শতাংশ গ্রাহক মনে করেন, গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশে মোবাইল প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার বাড়ছে না। উপরন্তু, ৯৭% ভোক্তা তাদের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

টেলকো-টেক কোম্পানি ও গ্রামীণফোনের প্রধান বিনিয়োগকারী টেলিনর এশিয়ার গবেষণা ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ সংস্করণে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে ‘বিল্ডিং বেটার ডিজিটাল লাইভস ফর এ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে টেলিনর এশিয়া এ তথ্য জানায়। অনুষ্ঠানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিল্প নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সেক্টরের স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদনের তিনটি অধ্যায় এশিয়ার আটটি দেশ (বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম) থেকে আট হাজারেরও বেশি ব্যক্তির তথ্য পরীক্ষা করে।

মোবাইল কানেক্টিভিটির প্রতি অংশগ্রহণকারীদের মনোভাব এবং আচরণ এবং এটি এশিয়া অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা, পেশা এবং বিনোদনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা বিশ্লেষণ করাই এর লক্ষ্য। অংশগ্রহণকারীদের লিঙ্গ এবং বয়সের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ গ্রাহক মনে করেন যে মোবাইল ফোন তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।

৭৩ শতাংশ মনে করেন, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে মোবাইল ফোন গ্রাহক বাড়বে। যেখানে বাংলাদেশী মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রতিদিনের বেশিরভাগ সময় বিনোদন সামগ্রী দেখার জন্য ব্যয় করে, সেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবাও বাড়ছে। আর্থিক সেবার ব্যবহারও বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক নারী মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে একটি উন্নত জীবন খুঁজে পাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে মোবাইল প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনটি বাধার কথাও বলা হয়েছে।

৬১ শতাংশ ভোক্তা মনে করেন যে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রধান বাধা। ৬০ শতাংশ মনে করেন যে দক্ষতা এবং জ্ঞানের অভাবও অন্যতম বাধা। আর ৪৯ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তির প্রতি আস্থা না থাকার কারণে মোবাইল প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামছুল আরেফিন তার বক্তৃতায় একটি আধুনিক, শিক্ষা ভিত্তিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন এবং এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার একটি অনন্য অংশ হিসেবে মোবাইল সংযোগের শক্তি ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

প্যানেল আলোচনাটি পরিচালনা করেন টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ এক্সটারনাল রিলেশন্স মনীষা ডোগরা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির। বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশীদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *