পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনা চলছে। এর আগে ৭ জানুয়ারি ২০টি বস্তায় পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর সঙ্গে ছিল বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যের অলংকার। এবারও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রাসহ অলঙ্কার।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়।
টাকা গণনা তদারকি করতে রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শহীদুর রহমান ও শাখা ব্যবস্থাপক ও এজিএম রফিকুল ইসলামও রয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা যায়, মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে দুই সারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা বিছিয়ে তিন সারিতে ছাত্র-শিক্ষকরা বসে শ্রেণীবিন্যাস করছেন। .
টাকা মসজিদের মেঝেতে ঢেলে দেওয়া হয় এবং মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের দ্বারা মূল্য অনুযায়ী আলাদা করা হয়। এরপর রূপালী ব্যাংকের কাউন্টিং মেশিনে গণনা করে মসজিদ হিসেবে ওই ব্যাংকে জমা করা হবে।
কোনো বাধা না থাকলে প্রতি তিন মাস অন্তর এই দানবাক্সগুলো খোলার রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিবাই সন্ধ্যা গড়িয়ে এই বিপুল অঙ্কের টাকা গুনতে শেষ করে।