চিটাগাং রোড বাস স্ট্যান্ড।ব্যস্ত মহাসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি
দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাঝখানে চারটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটি যানবাহন চলাচলে বিপত্তির সৃষ্টি করেছে। এসব খুঁটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এগুলো অপসারণ না করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় রেখে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু টোল প্লাজার হিসাব অনুযায়ী এ সড়ক দিয়ে ২০-২৫ হাজার যানবাহন চট্টগ্রাম অভিমুখে যায়। চিটাগাং রোড বাসস্ট্যান্ডে আসার সময় চালকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
সম্প্রতি নোয়াখালীর সোনাপুরগামী একুশে এক্সপ্রেসের বাসের চালক মো. সিদ্দিক মিয়ার বলেন, সব চালক একইভাবে গাড়ি চালান না। অনেকে বেপরোয়াভাবে চালান। চিটাগাং রোডের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। যেকোনো যানবাহনের সংঘর্ষে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক টার্মিনাল মালিক সমিতির সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার নির্বাহী সভাপতি কাজী আবদুস সাত্তার বলেন, ব্যস্ততম এই মহাসড়কে দিনের তুলনায় রাতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে তখন আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, কার্গো ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের যানজট বেড়ে যায়। ওই সড়কের মাঝখানের খুঁটির ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার ভোল্ট। অপসারণ না করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও গণপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুরের ব্যবসায়ী। আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, খুঁটি না সরিয়েই মহাসড়ক প্রশস্ত করেছে সওজ।
নারায়ণগঞ্জ পয়ঃনিষ্কাশন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম জানান, মহাসড়কের মাঝখানে উচ্চ ক্ষমতার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে ডিপিডিসিকে চিঠি দিয়েছেন।
এ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিপিডিসির নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস (এনওসিএস) সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন। এ বিষয়ে তাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।