চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনে পিএইচপি ফ্যমিলির কোটি টাকা অনুদান
চট্টগ্রামে কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনে এক কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপি ফ্যামিলি।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নগরের খুলশীস্থ পিএইচপি হাউজে কিডনি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের কাছে এ অর্থের চেক হস্তান্তর করেন সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়া পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, ডা. মইনুল ইসলাম মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, ডা. ইমরান বিন ইউসুফ, ডা. আবুল কাশেম। পিএইচপি ফ্যামিলির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রিংকু ও মোহম্মদ আকতার পারভেজ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী মঈনউদ্দীন আশরাফী।
এ সময় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি অতি সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রামে এসেছি ১০০ টাকা নিয়ে। আমার এখন যা আছে সব আল্লাহর দেওয়া। আমি মানুষ ১০০ টাকার। আমি সন্তানদেরকে সেভাবে লালন পালন করার চেষ্টা করেছি। বাল্যকালে ঘরে যখন মেহমান যেত, মেহমানরা ঘরের বাইরে স্বাভাবিকভাবে জুতা এলোমেলো করে রেখে ঢুকতো। আমার ছেলেদের দায়িত্ব দিতাম জুতা সাফ করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে। আজ আল্লাহর কাছে শোকর গুজার করি, আল্লাহ তা’লা এমন নেয়ামত দান করেছেন।’
সুফি ভাবধারার সাদামাটা জীবনযাপন করে আসা এ শিল্পপতি আরও বলেন, ‘আমি ১০০ টাকার মানুষ। আমি ১০০ টাকা এখনো ধরে রেখেছি। আমি এখনও ১১শ’ টাকার পোশাক পড়ি। আমি ৮০০ টাকার জুতা পড়ি। আমি মনে করি, যে হাত দিয়ে আল্লাহর বান্দার জন্য যত বেশি খরচ হবে, সেই হাতকে আল্লাহ তত বেশি পরিপূর্ণ করে দেবেন। আমি এবং আমার সন্তানদের পক্ষ থেকে কিডনি ফাউন্ডেশনের জন্য এই ক্ষুদ্র নিবেদন আপনারা দয়া করে গ্রহণ করবেন। আমরা এক সাথে আরও কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, ‘সুফি মিজানুর রহমান সাহেবের মতো একজন মানুষ আল্লাহ আমাদের কাছে পাঠিয়ে অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছেন। তিনি অর্থবিত্ত নিজের কাছে রেখে দেন না। চট্টগ্রামের অনেক লোকের কাছে অনেক পয়সা আছে। কিন্তু মানুষের সেবায় দান করার মানসিকতা সবার নেই। যেটা আমরা সুফি মিজান সাহেবের কাছে দেখি। তিনি মনে করেন দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইবাদত। তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, পাশে থাকেন।’