জাপান চট্টগ্রামে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী
চট্টগ্রামে বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বন্দর ও সড়ক ব্যবহারে জটিলতা এবং শুল্ক সমস্যা কমলে চট্টগ্রাম জাপানি বিনিয়োগের জন্য স্বর্গরাজ্য হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিএইচসিআইসি) মেয়র রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চসিকের টাইগারপাস অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রাম ও মিরসরাই ইপিজেডে অনেক কোম্পানিতে জাপানের বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে জাপানের অন্যতম বৃহৎ কর্পোরেশন নিপ্পন স্টিলসহ ২০টি বড় শিল্প গ্রুপ চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আরও অনেক কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী। পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে এই বিনিয়োগ বহুগুণ বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করেছে। অতএব, জাপানি বিনিয়োগ ব্যবসায়িক খাতে বৈচিত্র্য আনতে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে। জাইকার পাশাপাশি জাপানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব মডেলে চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বন্দরনগরীর অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে জাপান সবসময় সহযোগিতা করেছে।
মেয়র চট্টগ্রামের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিপুল বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে জাইকাসহ জাপানের সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। জাপানের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং কারিগরি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে চান তিনি।
চট্টগ্রাম সফররত জাপানি প্রতিনিধিদল মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, জাপানি ফ্লিট কমান্ডার ক্যাপ্টেন নাকাই ইচি, অনাবাসিক প্রতিরক্ষা অ্যাটাচে ক্যাপ্টেন তাচিবানা হিরোশি এবং জাপানের নৌবাহিনী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।