ইউপি নির্বাচন
রায়পুরায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদের চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মৃত হেকিম মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮) ও হাজী সিরাজ মিয়ার ছেলে দুলাল (৪৫)।
জাহাঙ্গীর ও সালাহউদ্দিনের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুলাল মিয়ার মরদেহ তার বাড়িতে রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, তিনজনই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক।
স্থানীয়রা জানায়, ভোট শুরুর আগে সকাল ৮টার দিকে রামপুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে পুলিশ প্রশাসন।
রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, বাঁশের গাড়িতে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ এখনও ওই এলাকায় রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নরসিংদী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে এ পর্যন্ত দুটি লাশ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনও ‘বিব্রত ও উদ্বিগ্ন’।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ছিল সবচেয়ে সহিংস। এ পর্যন্ত ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাই এ নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে পাঁচটি ইউপি পদে এবং ৬১টি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে ২০৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।