চলে গেলেন নূরে আলম সিদ্দিকী
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগম পরিষদের আহ্বায়ক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর পিএস রওশন আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ ঝিনাইদহে নেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টায় পৌঁছাতে হবে। মরদেহ ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার নিজ বাড়িতে রাখা হবে। বাদ জোহর সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সাভারের জিনারীবাজারে নিজের নির্মিত মসজিদে শেষ জানাজা শেষে সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রেস সেক্রেটারি অনিকেত রাজেশ জানান, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান। আজ সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।
নূরে আলম সিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৩-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪০ সালের ২৬ মে ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০-১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
