দুই বছর পর এবার বছরের প্রথম দিন বই উৎসব
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে বছরের প্রথম দিন উদযাপন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন আর তেমন কোনো বাধা নেই। আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে সাম্বরী উদযাপন করবে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশ অনুযায়ী, ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ পালিত হবে ১ জানুয়ারি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০১৩’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীর হাতে এক সেট বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আগামী ১লা জানুয়ারি রোববার সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে। করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসব না হওয়ায় এ বছর আমরা প্রতিটি জেলা ও উপজেলাকে উৎসবমুখর পরিবেশে বই দেওয়ার জন্য জানিয়েছি। আমরা বেশিরভাগ বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
সরকার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিজ নিজ জেলায় এই উৎসব উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকালে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার কপি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি বই ছাপা হচ্ছে।