বরিশালে জনসভা।পটুয়াখালী বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ব্যাপক ভাংচুর
আগামী শনিবার বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের দুই দিন ধরে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকি, হয়রানি, বাধা, মারধর ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। রাতে পটুয়াখালীতে বিএনপি অফিস ও এক নেতার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তারা আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় আইনজীবীসহ তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনেসহ বরিশাল নগরীতে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রলীগ। এছাড়া বিকেলে আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালায় পুলিশ। এর আগে দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বরিশালের উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু নেতাকর্মী। পটুয়াখালী শহরে বিএনপির প্রচার সমাবেশেও হামলা হয়েছে।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় দলীয় কার্যালয়ে কেউ ছিলেন না। অফিসে তালা দেওয়া ছিল। সন্ত্রাসীরা তালা ভেঙে চেয়ার-টেবিল ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করে। এতে বিএনপির পুরো কার্যালয় তছনছ হয়ে যায়। এ সময় অ্যাডভোকেট মো. শাহরিয়ারসহ তিন পথচারী আহত হয়েছেন। বাকি দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। এর আগে রাত ৮টার দিকে নগরীর স্বনির্ভর রোডে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলা হয়। সেখানে ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এ হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।
এ হামলার খবর পেয়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ বিভিন্ন সংগঠন দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পটুয়াখালীর পরিস্থিতি থমথমে।
স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, সারাদেশ যখন এই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় এবং ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে সবাই যোগ দিতে প্রস্তুত তখন ছাত্রলীগ ও যুব লীগের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। কোনো হামলা-মামলা-ভাংচুর করে বিএনপিকে দমন করা যাবে না।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।