ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।বর্তমানে টোল বাড়ছে না
রাজধানী ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সংযোগকারী ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। এটি পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে অর্থ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হারে টোল ধার্য করা হবে।
এইভাবে, মাঝারি ট্রাকের জন্য টোল হবে ৫৫০ টাকা, বাসের জন্য ৪৯৫ টাকা, মাইক্রোবাস, জীপ এবং পিকআপের জন্য ২২০ টাকা এবং প্রাইভেট কারের জন্য ১৩৮ টাকা। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলকে টোল দিতে হবে ৫৬ টাকা।
টোল বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অভ্যন্তরীণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, নতুন সচিব সার্বিক পরিস্থিতি জানতে সময় চেয়েছেন।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। সেদিন থেকে কবে সেতুতে টোল আদায় করা হবে? বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়েতে একই সঙ্গে বড় অঙ্কের টোল আরোপ করা হলে যাতায়াত ও জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাবে। তাই আপাতত টোল না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন বিভাগের উপসচিব (টোল অ্যান্ড এক্সেল) ফাহমিদা হক খান জানান, টোল পুনর্নির্ধারণে মঙ্গলবার সচিবের সভাপতিত্বে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগের (আরএইচডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) সবুজ উদ্দিন খান বলেন, টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) অপারেটর হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হবে। বুধবার (আগামীকাল) চূড়ান্ত হয়েছে। টোল আদায়ে আগামী পাঁচ বছরে সরকারের কাছ থেকে ৭১৫ কোটি টাকা নেবে কেসি।
এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রাবাড়ী-মাওয়া অংশে কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রস্থান ও প্রবেশপথ থাকবে। এই দুটি এলাকা দিয়ে যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। পদ্মার ওপারে পুলিয়াবাজার ও মালিগ্রামে বহির্গমন ও প্রবেশপথ থাকবে।
এই চারটি পয়েন্টে এখনো টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়নি। সবুজ উদ্দিন খান বলেন, যে পয়েন্টে গাড়ি বের হবে তার আগে যত দূরত্ব অতিক্রম করবে তার জন্য টোল দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই সংখ্যাও অনেক বড়। এতে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া টোলের হার পুনঃনির্ধারণ, অর্থ বিভাগ ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনুমোদনও সময়সাপেক্ষ। তাই গত বছরের অনুমোদিত হারেই টোল আদায় করা হবে।