সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ১৫ জন নিহত
সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীও রয়েছেন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়াও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুজনের মৃত্যু হয়। এক ঘণ্টা পর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর জানান। তিনি বলেন, আহত ৬০ থেকে ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী রাত ২টার দিকে আরও একজনের মৃত্যুর খবর জানান। পরে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ চমেকের বাড়িতে রাখা হয়েছে। অপর লাশ পাঁচলাইশের পার্ক ভিউ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে রোববার সকালে সীতাকুণ্ডে একটি কন্টেইনার ডিপো থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেলেও বাকিদের নাম জানা যায়নি। অজ্ঞাত লাশগুলোর মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শনাক্তকৃত তিনজন হলেন ডিপোর আইসিটি কাউন্টারে কর্মরত মবিনুল হক, মহিউদ্দিন (২৪) ও হাবিবুর রহমান (২৩)। এদের মধ্যে মবিনুল ও মহিউদ্দিন বারী বাঁশখালী উপজেলায়। হাবিবুরের বাড়ি ভোলায়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, বিস্ফোরণে তাদের পুলিশ কনস্টেবল তুহিনের একটি পা কেটে গেছে। এতে আরও অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেনসহ শিল্প পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।