মাহিন্দা রাজাপাকসে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন?

0

গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার পদত্যাগের আগে সরকারপন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় সরকারপন্থী বিক্ষোভকারীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয় এবং রাজধানী কলম্বোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

শুধু তাই নয়, তারা মাহিন্দা রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিতেও হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এ সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সেখানে আটকা পড়েন। পরে মঙ্গলবার সকালে মাহিন্দা রাজাপাকসে সেনা প্রহরায় বাসভবন ত্যাগ করেন।

এরপর তিনি তার পরিবারের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ত্রিনকোমালিতে একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। যাইহোক, নৌ ঘাঁটিটিও বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করে রেখেছিল, মঙ্গলবার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া জানিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মাহিন্দা রাজাপাকসে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। তবে এর কোনো প্রমাণ গণমাধ্যমে দেখা যায়নি। এর আগে মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলে বলেন, তার বাবা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবর চোখ এড়ায়নি শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের। এক বিবৃতিতে, হাইকমিশন মাহিন্দা রাজাপাকসের ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, মাহিন্দা রাজাপাকসের ভারতের পালানোর খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাইকমিশন দৃঢ়ভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দেশটির পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে যে সোমবারের সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩০ জনের বেশি। এছাড়া প্রায় ৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বর্তমান এমপি, একজন প্রাদেশিক পরিষদের চেয়ারম্যান, একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং একজন সার্জেন্ট রয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা ৪৮টি গাড়ি ও ৩৮টি বাড়িতে আগুন দেয়। এ ছাড়া ৪১টি যানবাহন ও ৭৫টি বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর বেশির ভাগই সাবেক মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *