ইতিহাদে আগুন ঝরা ম্যাচে হেরেও টিকে থাকল রিয়াল

0

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল। কিন্তু লড়াইটা যে এত বড় হবে কে ভেবেছিল! আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। একটি গোল করার ম্যাচ। সেই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছিল ৪-৩ গোলে। কিন্তু ফাইনালের রোমাঞ্চ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সংরক্ষিত।

ম্যাচের শুরুতেই ভরা গ্যালারিতে গর্জনের সুযোগ নেয় ম্যান সিটি। রিয়াল মাদ্রিদ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেন কেভিন ডি ব্রুইন। তাকে দারুণ এক ক্রস দেন রিয়াদ মাহরেজ। মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান ম্যান সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।

এরপর ১১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুস ২-০ গোলে এগিয়ে যান। ব্রুইনির জোরে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রিয়াল ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবাকে জালে জড়ান জেসুস।

প্রথমার্ধে একটি গোল করেন করিম বেনজেমা। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে গোল করেন ফ্রান্স। ফারল্যান্ড মেন্ডির ক্রস ছুঁয়ে দারুণ এক গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল করে জয়ের সুযোগ করে দেয় ম্যান সিটি। গোলটি করেন ফিল ফোডেন। ফার্নান্দিনহোর দেওয়া বল হেড করেন ইংলিশ তরুণ তারকা।

ম্যাচে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তৃতীয় গোলের দুই মিনিট পরই করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ম্যাচের সেরা গোলটি করেন তিনি। ফার্নান্দিনহোকে ফাঁকি দিয়ে গোলটি করেন ভিনি, তাদের অর্ধের শেষের দিকে দুর্দান্ত গতিতে ডিফেন্ডারদের পরাজিত করেন। ব্যবধান ৩-২ করেন তিনি।

কিন্তু ম্যান সিটি আবার সেই সুবিধা নিল। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে গোল করেন বেনার্দ সিলভা। বক্সের মুখে ফাউলের ​​সম্ভাবনা থাকায় হাল ছেড়ে দেন রিয়াল ফুটবলাররা। গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়াও হাল ছেড়ে দেন। শটে গোল করেন সিলভা। ৬২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান পুনরুদ্ধার করেন বেনজেমা।

ম্যান সিটি অবশ্যই ম্যাচ শেষে একাধিক গোল মিস করার জন্য অনুতপ্ত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের লড়াই এখন দ্বিতীয় লেগে। ঘরের মাঠে পিএসজি ও চেলসির বিপক্ষে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এবার বার্নাব্যুতে সিটির বিপক্ষে একই গল্প লিখতে হবে তাদের। ম্যান সিটিকে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। তবেই সরাসরি ফাইনালে যেতে পারবে রিয়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *