সাঁওতালরা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবি রাখে

0

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে শনিবার সকালে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন।

গাইবান্ধা ডিবি রোড গণসাস মার্কেটের সামনে বেসরকারি সংস্থা জনউদ্যোগ ও আলবানের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শতাধিক আদিবাসী তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য, পরিবেশ আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু ইন বাস্ক, বাবুল রবিদাস, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ড. জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, মার্কসবাদী ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, মৃণাল কান্তি বর্মণ, জেলা রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, সাধারণ সম্পাদক মো. আদিবাসী নেতা তৃষ্ণা মুর্মু, ব্রিটিশ সরন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও দেশে আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবি উপেক্ষিত রয়েছে।৪৫টি আদিবাসী গোষ্ঠীর ২০ লাখেরও বেশি শিশু তাদের নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য, লোককাহিনী, প্রবাদ এবং বাণী ভুলে গেছে। মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের সংস্কৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তারা বলেন, মাতৃভাষার মাধ্যমেই শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটে। তাই এদেশের আদিবাসী শিশুদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা নিজেদের ভাষায় শেখা খুবই জরুরি। কিন্তু চর্চার অভাবে এসব বর্ণমালা এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজেদের ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজেদের ভাষায় সম্পূর্ণ অশিক্ষিত। তাই জেলায় পাঠ্যপুস্তক ও আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠাসহ আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সরকারের আশু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *