শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ চায় অর্থনৈতিক সমিতি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতি।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত ও সাধারণ সম্পাদক ড. আইনুল ইসলাম এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট, শিক্ষার্থীদের পুলিশি হয়রানি, শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনড় মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চলমান অচলাবস্থা শিক্ষার্থীদের জীবনকে সন্দিহান করে তুলেছে। এতে একদিকে অভিভাবক ও দেশবাসী উদ্বিগ্ন, অন্যদিকে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সমিতি। বিবৃতিতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার নির্মোহ প্রতিবেদন ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া অবিলম্বে সমস্যা সমাধান ও দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উপাচার্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছে অর্থনৈতিক সমিতি।
তার পদত্যাগের দাবিতে ১৮ জানুয়ারি থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার থেকে একই স্থানে ২৪ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি থেকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার কারণে অবরোধে রয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে।