ছুটির দিনেও কারা সচিবালয়ে ছিলেন?

0

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চলছে বহুমুখী তদন্ত। সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিমও এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর ছিল বড়দিনের ছুটি। ওই রাতেই আগুন লাগে। ছুটির রাতেও সচিবালয়ে কারা বা কারা অবস্থান করছিল তা জানার চেষ্টা করছে তদন্ত কমিটি। আর এ তথ্য জানার জন্য ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে।

সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটনে বিভিন্ন তৎপরতাও শুরু করেছে কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় বড়দিনের ছুটিতেও ওই রাতে সচিবালয়ে কারা উপস্থিত ছিলেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য পুলিশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের তিনটি প্রবেশপথ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ৭ নম্বর ভবনের সামনে ও পেছনের সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

এ ছাড়া সচিবালয়ে প্রতিটি ক্যান্টিনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে। এসব বেসরকারি কর্মচারী বিশেষ পাস নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।

এদিকে গতকাল পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ শনাক্ত করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

আগুনে ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তিন তলার প্রতিটির করিডোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ তদন্তকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদ পরিদর্শন করেছে। ছাদে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন আছে কিনা দেখতে। তারা ছাদে প্রচুর কুকুরের মল খুঁজে পেয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের অষ্টম তলা থেকে একটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *