ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হেরে সিরিজ ড্র বাংলাদেশ
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ার পর ক্রাইস্টচার্চে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। দুইবার ব্যাটিং করেও প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৫২১ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয় মুমিনুল বাহিনী। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এক ইনিংস ও ১১৭ রানে হেরেছে তারা। এর আগে মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ১২৬ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিনে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বাংলাদেশকে ৩৯৫ রানে ফলোঅনে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খুব সাবধানে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার সাদমান ও নাঈম। নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদি কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম স্পেলটি ভালো করে ফেলেন। উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে ২৭ রান। উদ্বোধনী জুটি ১৩.৫ ওভারে। এরপর কাইল জেমিসনের বলে টম ক্লেন্ডের গ্লাভস বল তুলে দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সাদমান। ৪৮ বলে ৩ চারে ২১ রান করেন তিনি।
তিন রানে ব্যাট করতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অভিষিক্ত নাঈমের সঙ্গে প্রথম সেশনের বাকিটা সময় কাটাতে দোরগোড়ায় গিয়েও শান্ত হতে পারেননি তিনি। লাঞ্চ বিরতিতে মাত্র দুই ওভার বাকি থাকতেই ওয়াগনারের বলে বোল্টের হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে শান্ত ৩৬ বলে ২৯ রান করেন।
ম্যাচ বাঁচাতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নাঈম শেখ। কিন্তু সৌদি অফস্টাম্পের বাইরে বল চালাতে গিয়ে হঠাৎ স্লিপে ক্যাচ দেন নাঈম। ৯৬ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন নাঈম। এরপর ক্যাচ নেবার আগে মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। আগের ইনিংসে হাফসেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির রাব্বি মাত্র দুই রান করেন।
ব্যাটিং দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখাচ্ছিলেন লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। জুটিতে যোগ হলো শতাধিক। কিন্তু ইনিংসটা বড় করতে পারেননি সোহান। মিচেলের বলে বাজে শট খেলে ওয়াগনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ৫৪ বলে ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১০১ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়েন এই জুটি।
এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩ রান করে ছুটি নেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই করে সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুমে স্যালুট জানালেন লিটন। তার সেঞ্চুরিতে রানের ব্যবধান কমেছে।
এছাড়া শরিফুল শূন্য ও এবাদত হোসেন ৪ রানে আউট হন। এদিকে তাসকিন আহমেদ ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।