বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্যকে গণধোলাই গুলশান থানায় সোপর্দ
বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারকে পিটিয়ে গুলশান থানায় সোপর্দ করেছে সাধারণ মানুষ।
গত শনিবার রাতে স্থানীয়রা তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিয়াজুল হক জানান, শাহে আলমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে চাঁদার দাবিতে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক এমপি শাহে আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত বুধবার উপজেলার চাখার সৈয়দ আতিকুর রহমান বাপ্পী বাদী হয়ে বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় শাহে আলমসহ তার তিন ভাই ও এক ভাতিজাসহ আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগটি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা সুমি।
মামলার বাদী সৈয়দ আতিকুর রহমান বানারীপাড়ার চাখার গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জিল্লুর রহমানের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডু, বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য মামুন উর রশিদ স্বপন, বানারীপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, পৌর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ গাইন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাবেক নেতা রিয়াজ তালুকদার, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুমম রায় সুমন, সাবেক সদস্য মশিউর রহমান সুমন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ রুথেন।
এদের মধ্যে রিয়াজ তালুকদার সাবেক এমপি শাহে আলম তার ভাই, স্বপন ও নুরুল হুদা চাচাতো ভাই এবং রুথেন তার ভাগ্নে। এছাড়াও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।