স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করলেন কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

0

সনদ জালিয়াতির অভিযোগে আলী আকবর খানকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ওএসডি করা হয়েছে। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন তার স্ত্রী শেহেলা পারভীন। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তার স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। এর আগে তাকে ডিবি কার্যালয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেলে আছেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর খান বলেন, আমি জানি না আমার স্ত্রী কোনো অন্যায় করেছেন কি না। আমি তার সম্পর্কে কিছুই জানি না। তার কাছ থেকে গোয়েন্দা সংস্থা কী পেয়েছে তাও আমি জানি না। আমার মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

তাহলে আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমে একটি খবর এসেছে এবং ডিবির কাছে তথ্য রয়েছে, তাই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে, এর বেশি কিছু জানি না। ওয়েবসাইটে সার্টিফিকেটের কাগজ পেলাম না।

২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আকবর খান বলেন, এটা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

কত সনদ লেনদেন হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি গণমাধ্যমে প্রায় পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ হাজারের কথা শুনেছি।তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

এর আগে গত শনিবার ড. আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করা হয় আলী । আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১ এপ্রিল সনদ জালিয়াতির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একাধিক বোর্ড কর্মকর্তা এবং দেশের কয়েকটি টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজের প্রধান ও অধ্যক্ষের নাম একে একে উঠে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *