চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন

0

অবশেষে রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনী। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

Description of image

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছেন।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় চিনি পরিশোধন কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও পাওয়া না গেলেও এর আগে আগুনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তারা।

প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চার ঘণ্টা চেষ্টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। মোঃ আব্দুল মালেক এর আগে জানান, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা শোধনাগারের ১০ হাজার বর্গফুটের গুদামে আগুন লেগেছে।

ফলে আগুন দ্রুত গোটা গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। গুদামটি কাঁচা চিনি এবং অন্যান্য উপকরণে পূর্ণ,” এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানান, মিলটি চালু থাকার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।

তিনি বলেন, ‘কেউ ভেতরে আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি। আগুন নেভাতে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছি।”

ওই গুদামে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি রয়েছে বলে দাবি করেন ভৌমিক। কর্ণফুলী ফায়ার স্টেশনের গুদাম পরিদর্শক শোয়েব হোসেন মুন্সী বলেন, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।