আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইশতেহারের বিস্তারিত তুলে ধরবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ ইশতেহারে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিবর্তিত দৃশ্যপট রাখা হয়েছে। স্মার্ট ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, পণ্যের মূল্য কমানো ও সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থানযোগ্য শিক্ষা ও যুব কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উপলব্ধ করা, সাম্প্রদায়িকতা এবং সমস্ত ধরণের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ করা এবং সকল স্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার তাদের চলমান কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৮ সালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নেমে আসবে, ২০২৮ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশে উন্নীত হবে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাবে ১৪ শতাংশ. ইশতেহারে প্রথমে বাংলাদেশের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট থাকবে।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, সরকার আমাদের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে ২০০৯ সাল থেকে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থনীতিকে অনেক শক্তিশালী করেছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ইশতেহারে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির সুরক্ষা ও শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ইশতেহারের খসড়া প্রণয়ন কমিটির আরেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ইশতেহারে সুশাসন নিশ্চিত করার কৌশল গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রযুক্তি সহজলভ্য করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, কৃষি খাতে ফলন বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, যাতে কর্মসংস্থানের পথ মসৃণ হয়, ব্যাংকিং খাতে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এই বছরের ইশতেহারে, কীভাবে ব্যাংকিং খাত সহ অন্যান্য বিষয়গুলিতে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা আনা যায়, আমরা পরামর্শ দেব যে কীভাবে গণতান্ত্রিক শাসন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কে দৃঢ় সুপারিশ থাকবে।
জানা গেছে, সেবা খাতে দুর্ভোগ বন্ধ করতেও তথ্যপ্রযুক্তির অধিক ব্যবহার জরুরি। এ ছাড়া নতুনত্ব ও ধারণাকে গুরুত্ব দেবে দলটি। দ্বাদশ ইশতেহারে কৃষি খাতে ন্যানোপ্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখ করা হবে।