মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলার আবেদন, অধিকতর শুনানি ১৫ ডিসেম্বর
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে ডিজিটালের মাধ্যমে অশালীন মন্তব্য করায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রেকর্ড করার আবেদনের ওপর ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকেএম তোফায়েল হাসানের আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলায় উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, মুরাদ হাসান সংসদ সদস্য। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করতে আইনি বাধা আছে কি না সে বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের দুজন পিপিকে ওইদিন থাকতে বলা হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানি করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে বাদী হয়ে আবেদনটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার।
তিনি বলেন, ‘ড. মুরাদ ডিজিটাল মিডিয়াতে আপত্তিকর, অসম্মানজনক এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাই মুরাদ ও নাহিদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০ ও ৩১ ধারায় মামলা করেছি। শুনানি শেষে আদালতের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্প্রতি একটি লাইভ ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন ড. মুরাদ হাসান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এরপর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুরাদ হাসানকেও অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা গেছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করেন। জামালপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।