চট্টগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতালের যাত্রা শুরু
চট্টগ্রামের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামবাসীর জন্য আজকের দিনটি খুবই আনন্দের। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ক্যানসার হাসপাতাল আজ থেকে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আমি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই, যারা এই কঠিন কাজটি সম্ভব করেছেন। এমন একটি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা সহজ কাজ ছিল না। এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নিয়ে চট্টগ্রামবাসী গর্বিত। ক্যান্সারের সম্পূর্ণ চিকিৎসা এখানে হবে; এর চেয়ে ভালো খবর আর হতে পারে না।
নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যাম্পাসে চামশিহা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, মাত্র দুই বছরে এই ক্যান্সার হাসপাতালের কাজ শেষ করে চিকিৎসা সেবা শুরু করতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সন্ধান। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। আমরা প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আপনাদের দানকে কবুল করেন। এটা একটা বড় ব্যাপার। আমরা পরম করুণাময়কে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এবং আপনাকে এই কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এম এ মালেক ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্রিটিশ সাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলেন, ক্যান্সার একটি শব্দ, বাক্য নয়। সাজার পর ফুলস্টপ দিতে হবে। কিন্তু শব্দের পর শব্দ বসিয়ে স্বপ্ন রচনা করা যায়; যেকোনো কঠিন, কঠোর পরিস্থিতিতে নতুন করে শুরু করার স্বপ্ন।
আজাদীর সম্পাদক বলেন, আজ চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতায়। জনগণের এই হাসপাতালে জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হলেই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন সার্থক হবে।