ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিলকে সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: প্রধানমন্ত্রী
রোববার ক্ষয়ক্ষতি তহবিল পুরোপুরি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।”
গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইউএনওপিএস (ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস) এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিচালক জর্জ মরিরা ডি সিলভা এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের লক্ষ্য হল জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত নেতিবাচক পরিণতিগুলি মোকাবেলা করার জন্য দরিদ্র দেশগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যেমন: ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, চরম তাপপ্রবাহ, মরুকরণ, বনের আগুন, ফসলের ব্যর্থতা ইত্যাদি।
ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি পালন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি জলবায়ু সহনশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজস্ব সম্পদে একটি জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় কক্সবাজারের খুরুসকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ঘর দিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রিন বেল্ট তৈরি করেছে, কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন রোপণ করেছে এবং প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগানোর পাশাপাশি জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের আবাসন করেছে।
ইউএনওপিএসের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ভূইয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে ইউএনওপিএস স্বাস্থ্য সেবা মহাপরিচালকের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের জন্য মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় প্ল্যান্ট তৈরি হলে ভালো হবে।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।