সাগরে নিম্নচাপ, ভারী বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কা
মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে বর্ষা মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। ফলে গতকাল দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির এই প্রবণতা বাড়তে পারে এবং আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মোঃ মনোয়ার হোসেন গতকাল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। তবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বুধবার এটি স্থলভাগে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তবে বৃষ্টিপাত আরো তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এই সময়ে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী দুই দিনের (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) বিভাগীয় বৃষ্টির পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
গত রোববার ও সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তুলনামূলকভাবে ভারী বৃষ্টি হলেও গতকাল রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ৪১টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৮৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া সিলেটে ৮৩ মিলিমিটার, শ্রীমঙ্গলে ৬৩ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ৫২ মিলিমিটার এবং কক্সবাজারে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় এ সময় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুমিল্লায়, ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।