দলীয় কার্যালয়ে লাঞ্ছিত।প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের কাছে বিচার চেয়েছেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা
জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা গত ১৭ আগস্ট জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিচার পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. . শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিচার চেয়ে গত বুধবার লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগে এমপি হোসনে আরা উল্লেখ করেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু নিজ এলাকা ইসলামপুরে তাকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এমনকি বর্ধিত দলীয় সভায়ও আমন্ত্রণ জানানো হয় না। গত ১৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির অসন্তুষ্টির ভয়ে তার আয়োজিত জানাজা সভায় অংশ নেননি। তারপরও কোনো আমন্ত্রণ ছাড়াই ১৭ আগস্ট ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সারাদেশে ধারাবাহিক বোমা হামলা দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত হন।রাত ৮টার দিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তুচ্ছ বিষয়ে কথা বলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম তাকে গালিগালাজ করেন। তিনি মৃদু প্রতিবাদ করলে ওই নেতা এসে তাকে চড়-থাপ্পড় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল নেতাকে বাধা না দিয়ে তাকে তিরস্কার করেন। একপর্যায়ে তিনি দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য হোসনে আরা বলেন, ১৭ আগস্টের ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে প্রতিমন্ত্রী তার অনুগত নেতাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেন। তদন্ত শুরুর আগেই কমিটির কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটিকে ভিত্তিহীন দাবি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।ঘটনার পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কাছে বিচারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। সংসদ, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, স্থানীয় এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল আমাকে লাঞ্ছিত করার দায় এড়াতে পারেন না।
এ বিষয়ে কথা বলতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, এমপি হোসনে আরাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হামিদকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।