ধর্ষণের পর ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিলেন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মিজানুর রহমান (৩১) নামে এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (৯ জুলাই) রাতে গোপালপুর উপজেলার দাইরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মিজানুর বাগাতি পাড়া উপজেলার চন্দ্রখাইর গ্রামের বাসিন্দা ।
র্যাব সূত্র জানায়, মিজানুর ফেসবুকের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। আইডিতে পুলিশের ছবি আপলোড করে নিজেকে সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দিতেন। তার কাছ থেকে কিছু গোপন ছবি সংগ্রহ করে এবং শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে মেসেঞ্জার চ্যাটের সময় বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করুন। এতে রাজি না হওয়ায় সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ছবি ফেরত দিতে ১২ মে নির্যাতিতার বাড়িতে যান মিজানু। সেখানে কেউ না থাকার সুযোগে তারা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই কিস্তিতে আরও ৩৩ হাজার টাকা নেন তারা। এরপরও ভিকটিম টাকা দাবি করে নাটোর সদর থানায় মামলা করেন।
র্যাব আরও জানায়, মামলার পর আসামি মিজানু গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশে ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে লালপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্ষণ ও প্রতারণা, ছদ্মবেশ ধারণ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে। এর একমাত্র পলাতক আসামি মিজানুরকে নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।