চট্টগ্রাম বন্দরে দূষণের শাস্তি বাড়িয়ে বিল

0

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকাকে দূষিত করার দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে পেশ তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১।

সোমবার নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৫০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ সালে বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বন্দর এলাকা দূষণের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী ওই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে যে এই আইনের অধীনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে (যে ক্ষেত্রে শাস্তির উল্লেখ নেই) সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বিল অনুযায়ী বন্দর ভাড়া ও টোল আদায়ের সময়সূচি তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম হলে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তাবিত আইনে একটি তহবিল রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে চার সদস্য রয়েছে। খসড়া আইনে প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ড সভা করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় জাহাজ বা যান্ত্রিক যন্ত্রপাতির কারণে বর্জ্য সৃষ্টি হলে তার মালিক বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণের সময়সীমা অতিক্রম করা হলে, আপনাকে ফি দিতে হবে। সেই বর্জ্য অপসারণ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। খরচ হবে দ্বিগুণ।

যদি কোনো ভাড়া, জরিমানা, ফি, ​​টোল, ফি বা ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়, তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণাধীন দায়ী পণ্য নিলাম করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে যে জাহাজের মালিক বা জাহাজে কর্মরত কারও অবহেলার কারণে ডক, পিয়ার বা কোনও ইনস্টলেশন বা কর্তৃপক্ষের কোনও ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *