হজযাত্রীরা সঙ্গে নিতে পারবেন ১২০০ ডলার
একজন যাত্রী সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের যাবতীয় খরচ ছাড়াও ১২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারবেন। গত বছরও একই পরিমাণ টাকা নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি হজে সৌদি পর্যায়ের খরচ বাবদ এজেন্সিগুলো ন্যূনতম ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠাবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোকে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সরকারি প্যাকেজের চেয়ে কম খরচে বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীরা ১২০০ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে আগ্রহী প্রত্যেক যাত্রীকে সৌদি পর্বের যাবতীয় খরচের জন্য ন্যূনতম ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকা যা ১৫ হাজার ৬২৩ সৌদি রিয়ালের সমতুল্য টাকা পাঠাতে হবে।
ব্যাংকগুলোকে সব নিয়ম মেনে এবং নামের তালিকা জমা দিয়ে তাদের নিজস্ব সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, মক্কা-মদিনায় বাসা ভাড়া, সেখানে যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে সৌদি পর্বের খরচ পাঠাতে হবে। এছাড়া এজেন্সিগুলোর প্রতি যাত্রী প্রতি বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। আর প্রাক-নিবন্ধন খরচ ৩১ হাজার টাকা।
সৌদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কোন দেশ থেকে কতজন হজে যেতে পারবে। এবার বাংলাদেশের জন্য কোটা দেওয়া হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। তবে হজ ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ৭ দফা সময় বাড়ানোর পরও কোটা পূরণ হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশ প্রায় চার হাজার কোটা ফেরত দিচ্ছে।
করোনার কারণে ২০২০-২০২১ সালে বিদেশ থেকে যাওয়া বন্ধ ছিল। গত বছর কোটায় হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। এর আগে ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজে গিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো কোটা ফেরত হয়নি।