রোয়াংছড়িতে গোলাগুলি।নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে, আতঙ্কিত আশ্রয়কেন্দ্রে আরও ১৩২ জন
রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতাং পাড়ায় গোলাগুলিতে নিহত আটজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে রোববার আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন ৮টি পরিবারের ১৩২ জন। রাওয়াংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নান এ তথ্য জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, পাইকিং পাড়া থেকে অনেকেই রাওয়াংছড়ি সদরে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরাপত্তার শঙ্কায় তারা বাড়ি ছেড়েছে।
শুক্রবার সকালে খামতাং পাড়ার রাওয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০ জন এবং রুমা উপজেলা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে ৭০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন ১৩২ জনের মধ্যে ৪০২ জন দুটি প্রতিবেশী খামতাং এবং পাইকিওং-এ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের খামটাং পাড়ায় গোলাগুলি শুরু হয়। পরদিন পুলিশ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। পাহাড়ে দুটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-ডেমোক্রেটিক) এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংগঠনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছে যে নিহতরা সবাই কেএনএফের সদস্য।