শিক্ষক নেতারা বলছেন, নির্বাচনের দুই দিন আগে সিন্ডিকেটের বৈঠকটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বোর্ড সিন্ডিকেটের অধ্যাপনা বিভাগের চারটি পদে আগামী ৬ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনের দুই দিন আগে শনিবার ৫৪৩তম সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রশাসন। শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া এই বৈঠক উদ্দেশ্যমূলক। শিক্ষক সমিতির সভাপতি উপাচার্যকে সভা স্থগিত করার কথা বলেন। মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।
জানা গেছে, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে সিন্ডিকেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৬ মার্চ। এই চারটি পদের জন্য সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর ২০১৭। বর্তমানে নয়টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদসহ সিন্ডিকেট। তবে দীর্ঘদিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষক সমিতির নেতারা দাবি করছেন, নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করা দাম্ভিকতা ও তাড়াহুড়ো করে নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনের দুই দিন আগে বৈঠকে সংগঠন কী তা সবাই বুঝতে পারছেন। এটি শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াই দ্রুত তাদের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুযোগ। নির্বাচনের একদিন পর এই বৈঠকের আয়োজন করা যেত। তারা আশঙ্কা করছেন তাদের প্রতিনিধি জিততে নাও পারে।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, বর্তমানে কোনো জরুরি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন নেই, যা নির্বাচনের আগেই শেষ করতে হবে। বরং নির্বাচনের একদিন পরও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সংযোগ করা যেত। আমি রেজিস্ট্রার এবং ভাইস চ্যান্সেলরকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছি – এই মিটিং স্থগিত করার জন্য। আগামীকাল লিখিতভাবে স্থগিতের কথা জানাবো।
সমিতির সহ-সভাপতি মো. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি নেই। ৬ষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি যোগ করা হবে। কিন্তু এর মাত্র দুদিন আগে সভা আয়োজন করা সবসময়ই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সভা আহ্বান করা হয়। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য শিরীন আখতারের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।