রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে চবি কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নেতারা। শিক্ষকরা নন টিচিং পদে নিয়োজিত থাকায় রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালনে আন্তরিক না হওয়ায় আন্দোলন শুরু করেন কর্মকর্তারা। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সদস্যরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করছেন কর্মকর্তারা। এর আগে রোববার সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত অবস্থান নেন সংগঠনটির নেতারা।
আজ দুপুর ১২টায় রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান তার কার্যালয়ে নেই। তবে এ বিষয়ে অবস্থান নিয়েছেন সমিতির ১১ নেতা। কেউ বাইরে, কেউ ভেতরে।
সমিতির নেতারা যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, সভাপতি রাশেদুল হায়দার, সহসভাপতি মীনা পারভীন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু জাফর ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সদস্য আবদুর রহিম প্রমুখ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান বলেন, কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কাউকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। বর্তমান রেজিস্ট্রারের কারণে এ অফিসের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, কর্মকর্তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে চারদিনের ছুটিতে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম মনিরুল হাসান।
এর আগে, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৮ জুন, ২০২২ তারিখের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রারসহ অশিক্ষক পদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিল। এ ছাড়া অফিসার সমিতির সদস্যরা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ২২ ডিসেম্বর ২০২২ সালের মধ্যে রেজিস্ট্রার পরিবর্তনের জন্য একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে অভিজ্ঞ অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা (অশিক্ষক পদে কর্মরত) হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্বক্ষণিক রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ না পাওয়ায় ওই চিঠির পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।