ভোটে হেরে টাকা ফেরত দাবি : হাজির হননি ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা
ভোটে হেরে টাকা ফেরতের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ জাকির হোসেনসহ তিনজনের সাক্ষ্য নেন। কিন্তু অভিযুক্ত ওসি তদন্ত কর্মকর্তার সামনে হাজির হননি। গোলাম কবির, এসআই মোঃ আসাদ ও ইউপি সদস্য ফরিদুজ্জামান। তারা সময়ের জন্য আবেদন করেছে। তাদের আবার হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৫ জানুয়ারি সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদে পঞ্চম ধাপে ভোট হয়। চেয়ারম্যান পদে জয়ের পথ সহজ করতে মৌখিক সমঝোতায় আশাশুনি থানার ওসির কাছে ২৭ লাখ টাকা হস্তান্তর করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন। ভোটে হেরে যাওয়ার পর ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ওসি গোলাম কবিরের কাছে ধর্না শুরু করেন তিনি।
কিন্তু টাকা ফেরত না পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পাঁচ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর ওই কর্মকর্তা সাবেক ওসি গোলাম কবির, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকির হোসেনসহ ছয়জনকে তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দেন। সোমবার ‘ভোটে হেরে টাকা ফেরত চাইছে, তদন্ত করছে পুলিশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সোমবার বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হন শেখ জাকির হোসেন, তার ভাই শেখ আজুয়ার রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান ঢালী। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযোগকারীর কথা শুনেছি। অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। দূরত্বের কারণে সময়ের আবেদন করেন অভিযুক্ত ওসি। পরের দিন তাদের হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের নিজস্ব তদন্তও চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকির হোসেন বলেন, ‘কীভাবে, কখন, কত টাকা দেওয়া হয়েছে- আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিস্তারিত বলেছি। তিনি বক্তৃতা লিখে রেখেছিলেন। তিনি জানতে চান, তাদের পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কি না? আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এসব লেনদেন কি কখনো প্রমাণ দিয়ে করা হয়?