আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা
শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা ওড়ান।
দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও পতাকা উত্তোলন করেন।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যাত্রায়’ স্লোগানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন যাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পূরণের পর ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকারও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলন থেকে।
সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করেন কাউন্সিলর ও প্রতিনিধিরা। তারা একটি ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করে। আজ সকাল ৭টা থেকে সম্মেলনস্থলের গেট খুলে দেওয়া হয়।
বিকাল ৩টায় উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলর সভায় সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদনসহ গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করবেন কাউন্সিলররা। এরপর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিল অধিবেশন শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এ অধিবেশনে বিএনপির তিন নেতাসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী ও নাগরিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা, স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী, কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ ১৫ হাজার বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি রয়েছেন।
সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান কমিটির তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর। গত ২৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২৪ ডিসেম্বর ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।