১৮টি জেলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ কমেছে
চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লেও নভেম্বরের শেষের দিকে তা কমতে শুরু করে। এবার শীতের আগমনে ৯ ডিসেম্বর এ সংখ্যা কমে ১৮টি জেলায় দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টিপাত কমার পাশাপাশি শীত বাড়ছে, যে কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবারো বাড়বে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাস ছিল ভয়াবহ। এই মাসে সর্বাধিক সংখ্যক রোগী সনাক্ত করা হয়। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৯৩২ জন। তবে নভেম্বরে মৃত্যু বেশি হয়। এই মাসে ১১৩ জন মারা গেছে। এ বছর ডেঙ্গুতে ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে কোনো বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়নি। ২০১৯ সালে সবচেয়ে বড় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। সেই বছর ১৬৪ জন মারা গিয়েছিল। বিভাগ অনুযায়ী এ বছর ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১৮ জন। এদের মধ্যে ৬১ জন ঢাকার বাসিন্দা। বাকি ৫৭ জন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ২১৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৬৯২ জন এবং অন্যান্য হাসপাতালে ৫২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় থাকেন ৩৭ হাজার ৮৫৬ জন। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ২১ হাজার ৯৫৭ জন ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। এই বছর এই রোগে ২৬৩ জন মারা গেছে।
রোগী কমার বিষয়ে জানতে চাইলে কীটতত্ত্ববিদ ডা. কবিরুল বাশার বলেন, বৃষ্টিপাত কমার পাশাপাশি শীত বাড়ছে, এ কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে। একই সঙ্গে শীতকালে এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা এটি একটি বড় ভূমিকা পালন করে।