শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিঘ্নিত করতে পরিকল্পিত অভিযান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানকে নৃশংস পৈশাচিক, নারকীয় ও সংবিধান পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর এভাবে হামলা, ভাংচুর ও গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের আমলেই সম্ভব। এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, অধিকার হরণ করা হয়েছে।এটা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।এটা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।ফুটপাতে বসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী যৌথভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে এই অভিযান পরিচালনা করেছে। সবচেয়ে জঘন্য কাজটি তারা করেছে যে তারা নিজেরাই এখানে ব্যাগে কিছু বিস্ফোরক নিয়ে গেছে। সংবাদকর্মীদের কাছে তার ভিডিও রয়েছে। অভিযান পরিচালনার আগে পুলিশ অফিসে ঢুকে সাদা ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়।এখন তারা সেটা বিএনপির উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।আজ যেভাবে বিএনপি অফিসে অভিযান চালানো হয়েছিল ২০১৩/২০১৪ সালের মতোই।সে সময় যে পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযানে ছিলেন। আজও দেখা যায়।এটাই ছিল অংশ।এগুলো আগেই প্লেন করে রাখা হয়েছে।
আবেগাপ্লুত হয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ভয়ংকর অত্যাচার, অসহায় গণতান্ত্রিক মানুষকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জন্য কি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি?’ এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনারা এই অসহায় মানুষকে এভাবে নির্যাতন করবেন না। এটা ঠিক না. এটা অতিরিক্ত. আমার উপস্থিতিতে আপনারা ঠিক করছেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের মন্ত্রীরা ১০ ডিসেম্বরের জনসভার আগে থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে শুরু করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফ বলেছেন, খেলা হবে। আরেক মন্ত্রী বলেছেন, হেফাজত খালি করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা। ২০১৩-১৪-১৫ সালের মত জনগণের ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ওরা অফিসের সব কম্পিউটার ও নথিপত্র নিয়ে গেছে। সব সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙ্গে দিয়েছে। বিদ্যুতের বাতি ভেঙ্গেছে যাতে কোনো প্রমাণ নেই।