খেরসনে উল্লাসের মাঝেই ইউক্রেন বলল যুদ্ধ শেষ হয়নি
রাশিয়া ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার পর, সেখানকার লোকেরা ইউক্রেনীয় সেনাদের উল্লাস ও স্বাগত জানায়। তবে কম্বোডিয়ায় আসিয়ান দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়ার সময় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হচ্ছি। তবে যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ চলবেই।
রাজধানী কিয়েভ ও ওডেসা সহ ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও একইভাবে ছড়িয়ে পড়েছে খেরসনের আনন্দ। তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাশিয়ার ব্যাপারে এখনও সতর্ক।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেছেন, ‘এখনও বিশ্রাম নেওয়ার সময় আসেনি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়ানরা দখল করতে পেরেছিল। সেখান থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারকে এই যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়
মস্কো বলেছে যে তারা খেরসন থেকে ৩০,০০০ সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। সেই সঙ্গে সেখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নেয় তারা।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পশ্চাদপসরণকে ‘উল্লেখযোগ্য বিজয়’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এটিকে তার দেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, ইউক্রেনের সেনারা ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে পৌঁছেছিল, রিপোর্ট অনুসারে। তবে এ নদী পারাপারের মূল সেতুটি আংশিক ধসে পড়েছে। সেতুটি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, রাশিয়ান সৈন্যরা যারা খেরসন দখল করেছিল তারা এখন নদীর পূর্ব দিকে চলে গেছে বলে মনে করা হয়।
রাশিয়ান সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে খেরসনের এক বাসিন্দা বলেন, লোকেরা আবেগে রাস্তায় গান গাইছে এবং নাচছে।
তিনি বলেন, খেরসন এখন মুক্ত। এখন সবকিছু বদলে গেছে। আজ সকাল থেকে সবাই কাঁদছে। সবাই শহরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আলিঙ্গন করতে চায়।
রাশিয়া গত বুধবার খেরসন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানান, নগরীতে আর রসদ সরবরাহ করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সেখানে রাশিয়ান সৈন্যদের তেমন কোনো পশ্চাদপসরণ হয়নি। তবে শুক্রবার ঘটনাগুলি বেশ দ্রুত ঘটতে শুরু করে।