ফাইনালে কে যাচ্ছে পাকিস্তান না নিউজিল্যান্ড?

0

আইসিসি সিডনি থেকে তিনটি ফ্লাইটের টিকিট বুক করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট – পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট মেলবোর্নে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রুট যার টিকিট বাতিল করা হবে, সেই গ্রুপের গন্তব্য মেলবোর্নে। পাকিস্তান বা নিউজিল্যান্ড কোন দল দেশে ফেরার বিমান ধরবে, তা নির্ধারণ হবে আজকের সেমিফাইনালে; সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃষ্টি ছাড়া ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। সেমিফাইনালে জিতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তান না নিউজিল্যান্ড খেলবে কি না, তা জানা যাবে সন্ধ্যার পর। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষে বাজি ধরার সংখ্যাই বেশি। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আট আসরে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনাল খেলবে তারা। প্রথম দুই মৌসুমে তারাই ফাইনাল খেলে একবার শিরোপা জিতেছিলেন। নিউজিল্যান্ড একটু পিছিয়ে আছে, তিনটি সেমিফাইনালে এবং একবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জিততে পারেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ব ক্রিকেটকে দারুণ বিনোদন দিয়ে আসছে, চোকারদের সুনাম ভেঙে দিয়েছে। দুটি ওয়ানডে এবং একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া কিউইরা এবার শিরোপার দাবিদার। সেখান থেকে, কেন উইলিয়ামসন সেমিফাইনাল রেস জিতে মেলবোর্নে ১৩ নভেম্বরের ফাইনালে টিকিট পেতে মরিয়া হয়ে খেলবেন। আবার পাকিস্তান ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুনরাবৃত্তি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ বাবরের দলে ইমরান খানের পাকিস্তান দলের ছায়া দেখছেন অনেকেই।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান সবসময়ই একটা মঞ্চে যায়। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলার দলও তারা। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে খুব একটা ভালো করতে পারেনি। ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিল তারা। পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলা ভাগ্যের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিডনির টিকিট বুক করেছে তারা। অনিশ্চয়তার কারণে সেমিফাইনাল খেলার শঙ্কা পাকিস্তানের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এবং সোজা হয়ে দাঁড়ালে পাকিস্তানকে থামানো কঠিন হবে। গতকাল প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে দলের কোচ ম্যাথু হেইডেনকে ১৯৯২ সালের পুনরাবৃত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ান এ কোচের কথা থেকে বোঝা যায় যে তিনিও চান এবারও এমন কিছু হোক।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড বেশ ভালো। বাবর আজমারা মোট ২৮টি ম্যাচ জিতেছেন ১৭টি ম্যাচে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে দলটি। যে কারণে সেমিফাইনালে উঠলেও সিডনিতে আজকের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেভারিট পাকিস্তান। তবে ম্যাথু হেইডেন নিজেকে ফেভারিট মনে করেন না। তিনি উভয় দলের জন্য সমান সুযোগ দেখেন। তার মতে, ‘এই মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। ডেভিড কনওয়ে খেলেছেন অবিশ্বাস্যভাবে বিধ্বংসী ইনিংস। অস্ট্রেলিয়াকে ১১১ রানে গুটিয়ে বড় জয় পেয়েছে তারা। তাদের বোলিং লাইনআপও বেশ শক্তিশালী। সেদিক থেকে দুই দলেরই সেমিফাইনালে জয়ের সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তান কোচ আরেক জায়গায় স্মার্টনেস দেখালেন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মেলাতে চাননি তিনি। তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো। গ্রুপ ও নকআউট ম্যাচসহ দুই দলের মধ্যে ছয় ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কিউইদের পরাজিত করে জোহানেসবার্গে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলেন মিসবাহ উল হকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *