তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সূচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে হলে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন করা প্রয়োজন। সংবিধান অনুযায়ী, দেশের সব বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।” অতএব, যদি নির্বাচন কমিশনকে আইন দ্বারা শক্তিশালী করা যায়, তাহলে সব নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান হবে। ‘
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জিএম কাদের বলেন, “দেশের রাজনীতিতে রাজনীতিকরণ চলছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো সব রাজনৈতিক শক্তির নাম ও সাইনবোর্ড হবে। যদি বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে শিবির টিকবে না, রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “সংবিধান ও গণতন্ত্র অনুযায়ী জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে।” কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের চাপে দলগুলো অসমর্থিত হচ্ছে। দেশের মানুষও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্র গড়ে উঠতে পারে না। রাজনীতিকরণ কখনোই দেশ ও জনগণের জন্য ভালো হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পৃথক আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, “সরকার যদি নির্বাচন কমিশনের সমান্তরালে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, নির্বাচন কমিশন কখনই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না।” তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের বিকল্প নেই।
প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ এবং রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া জাতীয় প্রাক্তন সেনা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সূচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈনিক পার্টির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন।