“বাবা” ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিলো না।

0

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিষ খেয়ে মারা যাওয়া স্কুলছাত্রী মীম আক্তারের ডায়েরিতে একটি নোট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পরিবার। সেখানে লিখেছিলেন, পাশের বাড়ির এক ছেলেকে দায়ী করে লেখা,

 “বাবা বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ও আমাকে বাঁচতে দিলো না,

শনিবার ডায়েরির পাতা উল্টানোর সময় লেখাটি মীমের পরিবারের নজর কাড়ে। এতে লেখা আছে ‘বাবা -মা, ভাই -বোন -আমাকে ক্ষমা করুন। বাবা, পাশের বাড়ির বাচ্চুর (ছেলে) জহিরুলকে ক্ষমা করো না। এটা আমার জীবন নষ্ট করেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বাঁচতে পারি না। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমার বাবার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু সে আমাকে বাঁচতে দেয়নি। ‘

নিহত মীম উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় আঠারবাড়ি মহিমচন্দ্র রায় চৌধুরী (এমসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। জহিরুল মিয়া, একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

নোটটি পাওয়ার পর শনিবার রাতে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মীমের বাবা জহিরুলকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

কিশোরের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আগে জানতাম না পাশের বাড়ির ছেলের আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নোট দেখে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমি যদি আগে জানতাম, আমার মেয়ের এমন পরিণতি হতো না।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া জানান, মামলার আসামি মীম ও জহিরুল একই স্কুলে পড়ত। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেটি একটি দোকানে চাকরি নেয়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *