পুরনো ট্যানারি পল্লিতে এখন চামড়াজাত পণ্যের বাজার।হাজারীবাগ ক্লাস্টারে বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৬০ কোটি টাকা
হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর কিছুদিন এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে এখন আবার নতুন রূপে জেগে উঠছে হাজারীবাগ। পুরনো ট্যানারি গ্রামে গড়ে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের বাজার। বিশেষ করে চামড়ার বেল্ট, মানিব্যাগ, জুতা, যন্ত্রাংশ, অফিসিয়াল ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বাজার গড়ে উঠেছে এখানে। সাভারে স্থানান্তরিত ট্যানারি শিল্পের মালিকরাও এখানে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহ করছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশন সারা দেশে ১৭৭ টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিকাশে সহায়তা করছে। এর মধ্যে অন্যতম রাজধানীর হাজারীবাগ চামড়াজাত পণ্যের গুচ্ছ। এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, হাজারীবাগ ট্যানারি জংশন থেকে লেদার কলেজ, হাজারীবাগ বাজার, ধানমন্ডি ১৫ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে চার শতাধিক দোকান, শোরুম ও ছোট চামড়াজাত পণ্যের কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে রপ্তানি মানের জুতা, ব্যাগ, কর্পোরেট চামড়াজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ক্লাস্টারের বার্ষিক টার্নওভার ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা। দেশীয় বাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে।
গত মঙ্গলবার এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল হাজারীবাগ গুচ্ছ পরিদর্শন করে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, হাজারীবাগ লেদারক্র্যাফট এসোসিয়েশনের সভাপতি তানিয়া ওহাব। এ সময় উদ্যোক্তারা জানান, ট্যানারি অপসারণের পর হাজারীবাগে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না। তবে হাজারীবাগ এখনও ‘রেড জোন’ হওয়ায় উদ্যোক্তাদের পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া উৎসে অতিরিক্ত কর কাটা, অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়, বিভিন্ন নথি তৈরির সমস্যাগুলো তুলে ধরেন তারা।