৪টি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ শুরু করতে হবে: সজিব ওয়াজেদ জয়

0

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আমরা চারটি প্রযুক্তির ওপর জোর দিতে চাই। মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং সাইবার নিরাপত্তা; এই চারটি প্রযুক্তির সক্ষমতা বিকাশ বাড়ানোর জন্য আমাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে।

বুধবার গণভবন থেকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের দ্বিতীয় সভায় যোগদানকালে আইসিটি উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে কার্যত যোগ দিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, শিল্প, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও কৃষিসহ বিশ্বের প্রতিটি সেক্টরের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্সের ওপর। তাই আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি ও বিশ্ববাজারে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা ও কাজ করতে হবে।

দেশ ও বিশ্বের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ মাইক্রোপ্রসেসিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও সাইবার নিরাপত্তায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে মাইক্রোপ্রসেসরে অন্যান্য দেশকে ধরতে বাংলাদেশের একটু সময় লাগে।

তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে আমাদের দেশ ও বিশ্বের জন্য কী প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে তাতে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।” সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে, আমরা মাইক্রোপ্রসেসিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব বর্তমানে মাইক্রোপ্রসেসিং ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য ২-৩টি দেশের ওপর নির্ভরশীল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব কিছুতেই আসছে ভবিষ্যতের ডিজিটাল দুনিয়া। বর্তমানে অন্য দেশ থেকে আমাদের এই প্রযুক্তি আনতে হচ্ছে। আমার অনুমান যে রোবোটিক্স ভবিষ্যতে সর্বত্র ব্যবহার করা হবে। রোবট শিল্পের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা এবং কৃষির সমস্ত ক্ষেত্রে শ্রমবাজার দখল করবে। তাই আমরা যদি আমাদের নিজস্ব রোবোটিক প্রযুক্তি তৈরি করতে পারি, তাহলে আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

তিনি যোগ করেছেন যে অর্থনীতি ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে সাইবার সুরক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমাদের দেশে এই চারটি ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যের ওপর নির্ভরশীল।

এই নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় এসব প্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশ আইওটি ও রোবোটিক্সে তেমন অগ্রগতি করতে পারেনি। এটি নতুন প্রযুক্তি। তাই আমরা সহজেই ধরতে পারি। “মাইক্রোপ্রসেসরে এগিয়ে থাকা দেশগুলির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আরও ২০ বছর লাগলেও, আমাদের আজই কাজ শুরু করতে হবে,” তিনি বলেন। আশা করি ভবিষ্যতে মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তিতেও আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, বিসিএস, বেসিস ও ব্যাকো সভাপতি, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *